আমরা লাইভে English বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩

নিরাপত্তা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে পাকিস্তানী ও আফগান কর্মকর্তাদের আলোচনা

REPORT-2-ENG-02-09-2020-Pak

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আফগান কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল সোমবার কাবুল পৌঁছেছে। 

গত বছরের জুনে ইসলামাবাদে যে বৈঠক হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় কাবুলে দিনব্যপী এই বৈঠক হলো। আফগানিস্তান-পাকিস্তান অ্যাকশান প্ল্যান ফর পিস অ্যাণ্ড সলিডারিটির অধীনে এই বৈঠক হলো। দুই দেশ ২০১৮ সালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে। 

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গ্রান হিওয়াদ আরব নিউজকে বলেন, “এ বৈঠকের পেছনে আমাদের উদ্দেশ্য হলো সহযোগিতা, বোঝাপড়া, এবং এপিএপিপিএসের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সংহত করা”।

আলোচনার ব্যাপারে এক বিবৃতিতে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল যে, কর্মকর্তারা ভাগ হয়ে বিভিন্ন ওয়ার্কিং গ্রুপের অধীনে নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ, দ্বিপাক্ষিক অর্থনেতিক সহযোগিতার সম্প্রসারণ, শরণার্থী ইস্যু, রাজনৈতিক সহযোগিতা, এবং আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে। 

মুখপাত্র আরও বলেন, “দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে এটা অন্যতম সমন্বিত একটি প্ল্যাটফর্ম”।

এমন সময় এই আলোচনা হলো, যখন মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগান তালেবান প্রতিনিধিদের সাথে আফগানিস্তান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘তারা শান্তিপূর্ণভাবে আফগান যুদ্ধের সমাধানে’ সম্মত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। 

তবে হিওয়াদ জানান যে, সোমবারের এপিএপিএসএসের বৈঠকের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল এবং তালেবানদের সাথে পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। তালেবানরা ক্ষমতায় থাকাকালে পাকিস্তানের কাছ থেকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তারা আফগান সরকার ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। 

কাবুল ভিত্তিক আঞ্চলিক বিশ্লেষক নাসরাতুল্লাহ হাকপাল আরব নিউজকে বলেন যে, পাকিস্তানী প্রতিনিধিরা ‘আফগানিস্তানে ভারতের কথিত প্রভাব’ নিয়ে এবং আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তান বিরোধী তৎপরতা চালানোর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানাতে পারে। 

হাকপাল বলেন, “শান্তি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং তালেবানরা ভবিষ্যৎ সরকারের অংশ না হওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে হয়তো আমরা দেখতে পাবো না”।

তিনি আরও বলেন, “তালেবানরা যদি বর্তমান বা ভবিষ্যতের আফগান সরকারের অংশ হয়, তাহলে আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা কমে আসবে, এবং তখন পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের সম্পর্কের উন্নতি হবে”।