আমরা লাইভে English বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩

চীনা উপস্থিতি জোরদারের আশঙ্কায় ভুটানকে বাণিজ্য, কানেকটিভিটিতে প্রলুব্ধ করছে ভারত

REPORT-4-ENG-25-02-2020-Bhutan

আরো বেশি সীমান্ত বাণিজ্য পয়েন্ট শনাক্তকরণ, দুই দেশের মধ্যে রেলওয়ে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারতের প্রভাব বলয় থেকে ভুটানকে সরিয়ে নেয়ার চীনা প্রয়াস ভণ্ডুল করার উদ্যোগ নিয়েছে নয়া দিল্লী সরকার।

গত সপ্তাহে নতুন বাণিজ্য রুট চালু করারপর দিল্লী সম্ভবত ভারত ও বাংলাদেশে রফতানি বাড়ানোর জন্য আরেকটি স্থায়ী স্থল শুল্ক স্টেশন (এলসিএস) খোলার ভুটানি অনুরোধ অনুমোদন করবে। ভারত আরেকটি সমন্বিত চেক পোস্ট (আইসিপি) স্থাপনের বিষয়টিও বিবেচনা করছে।

আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার আরেকটি চীনা প্রয়াস ভুটান এড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ভারত এসব উদ্যোগ গ্রহণ করছে। উল্লেখ্য, ভুটানই হলো ভারতের একমাত্র প্রতিবেশী, যে এখনো চীনের বিআরআই উদ্যোগে যোগ দেয়নি। ভারত সরকার বুঝতে পেরেছে যে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধের কারণেই ভুটান সম্ভবত বেইজিংয়ের প্রতি সন্দেহপ্রবণ। উল্লেখ্য, চীন সম্প্রতি ভুটানের পূব দিকে ভারতের অরুচনাচল প্রদেশ সীমান্তের কাছে একটি এলাকা নিজের বলে দাবি করেছে।

আরও পড়ুনঃ ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত আলোচনায় বসতে চায় চীন, উদ্বিগ্ন ভারত

সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মাজনাই ও ভুটানের নাইয়েনপলিংয়ের মধ্যে রেলওয়ে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাবতা যাচাই চলছে। ভারতের ল্যান্ড পোর্টস অথোরিটি পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলাকে সমন্বিত চেক পোস্ট স্থাপনের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

ভুটানের অনুরোধের প্রেক্ষাপটে ভারত জিটি-নাগরাকাটা এলসিএসকে স্থায়ী এলসিএস হিসেবে ঘোষণা করার কথা বিবেচনা করছে। মওসুমভিত্তিক এই স্টেশনটি কমলা, আদা, এলাচ বাণিজ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্যানুযায়ী, ভুটান তার রফতানি বাড়ানোর জন্য সুযোগ সুবিধার বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে। পরিবহন ব্যয় ও নদী সেতুপথে বিধিনিষেধের কারণে ভুটান তার পণ্য রফতানি করতে নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছে।

ভুটানের অনুরোধের প্রেক্ষাপটে ভার গত সপ্তাহে একটি অতিরিক্ত বাণিজ্য রুট খুলে দিয়েছে।