নিষিদ্ধ হলেও ভুটানে অনলাইন লটারি জনপ্রিয়

নড়বড়ে একটি টেবিলের উপর উগিয়েনের মাথা ঝুঁকে আছে, সে খুব ব্যস্ত। কমার্সের ছাত্র এই কর্পোরেট চাকরিজীবী সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ করেন। এটা হলো গণিতের একটি শাখা যেখানে এলোমেলো বিতরণের মধ্যে পরিমাণগত বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়।
তার স্যামসাং মোবাইলে একটি এক্সেল শিট আছে। উগেইন এমন একটি সংখ্যা খুঁজছেন যা তাকে কয়েক ঘন্টার মধ্যে কিছু অর্থ এনে দেবে। কয়েক মাস সে তীর নিক্ষেপের খেলা খেলেছে। এখন আকর্ষণ নতুন অনলাইন জুয়ার প্রতি।
ভুটানে সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল ফোন-ভিত্তিক অনলাইন জুয়ারীদের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তবে আইনে এটা নিষিদ্ধ। কিন্তু নির্দোষ এই জুয়া থেকে মানুষকে বিরত রাখাও কঠিন।
তীর-ধনুকের জুয়া ভুটানে সিদ্ধ। এর উৎপত্তি উত্তর-পূর্ব ভারতে। এখন অনলাইনে জুয়া পরিচালনা করে ৭৯-৮০টি অঘোষিত গ্রুপ। এরা মূলত চীনা। বিভিন্ন সোস্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপের মাধ্যমে এগুলো পরিচালনা করা হয়। এখানে পারস্পরিক আস্থা বেশ ভালোভাবে কাজ করে।
ভুটানে একমাত্র বৈধ লটারি সংস্থা-ভুটান লটারি।
অনলাইন লটারির কারণে বৈধ লটারির বিক্রি কমে যাওয়া ভুটান লটারির এজেন্টরা অসন্তুষ্ট। তবে অবৈধ লটারি পুরোদস্তুর চললেও ভুটান লাটারি ৬০-৭০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে। অনলাইন জুয়া না থাকলে নিশ্চিতভাবে এই বিক্রি বাড়তো।