ভারতের কৌশলগত উদ্বেগ সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে
শ্রীলঙ্কা পররাষ্ট্রসচিবের বিশেষ সাক্ষাতকার

শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রসচিব অ্যাডমিরাল অধ্যাপক জয়ন্ত কলম্বাজ মনে করেন যে তার দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থান একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি করেছে। সাউথ এশিয়ান মনিটরের পি কে বালাচন্দ্রনের সাথে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি দেশটির পররাষ্ট্র সম্পর্ক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অগ্রগতিসহ আরো অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন।
ভারত মহাসাগরীয় এলাকা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক- উভয়ভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত এলাকা। শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সব আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিই মনে হয় দেশটির দিকে তাকিয়ে থাকে। আপনি কি মনে করেন, এটি দেশের জন্য একটি সুবিধাজনক অবস্থান, নাকি এর ফলে সব দিক থেকে আরো বেশি চাপ আসছে? বিদ্যমান ভূরাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে লাভবান হতে শ্রীলঙ্কা কী পরিকল্পনা করছে?
একটি দেশের অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে। দেশটি তার অর্থনীতি বা রাজনৈতিক নীতি বদলে ফেলতে পারে, কিন্তু একটি জিনিস পরিবর্তন করতে পারে না। আর তা হলো ভৌগোলিক অবস্থান। শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারত মহাসাগর ও আশপাশের এলাকায় প্রধান শক্তিগুলোর কাছে দেশটি খুবই আকর্ষণীয়। ভারত, চীন, আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়া- সবাই শ্রীলঙ্কার ভূকৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে খুবই আগ্রহী। কিন্তু এই আকর্ষণ অনেক চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসে। শ্রীলঙ্কার উচিত হবে এসব আকর্ষণ কাম চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করা। আমাদের যথেষ্ট চতুর হওয়া উচিত, কঠোর পরিশ্রম করে শ্রীলঙ্কার জনগণের জন্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কল্যাণের সুযোগগুলো গ্রহণ করা উচিত। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট চান শ্রীলঙ্কা যেন নিরপেক্ষ থাকে, কোনো জোটে না যায়। তিনি চান, শ্রীলঙ্কা যেন এই অঞ্চলের সব দেশের সাথেই সম্প্রীতিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন।
আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে যাতে শ্রীলঙ্কার মাটি বা শ্রীলঙ্কার পানি অন্য কারো বিরুদ্ধে ব্যবহৃত না হয়, বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত না হয়। কারণ ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো আমাদের বুঝতে হবে। ভারতের সামুদ্রিক ও নিরাপত্তা ছাতার নিচে শ্রীলঙ্কার অবস্থান। আমাদের কখনো পক প্রণালীর ৪০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে থাকা বিমানবাহী রণতরী হওয়া চলবে না, যেমনটা শিবশঙ্কর মেনন তার গ্রন্থ চয়েজেস-এ উল্লেখ করেছেন। ভারতের জন্য যেন কৌশলগত উদ্বেগ সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। প্রেসিডেন্ট বিষয়টি বারবার উল্লেখ করেছেন। ভারতের কৌশলগত নিরাপত্তা প্রয়োজন, আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে আমাদের খুবই মনোযোগী হতে হবে। ভারতের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়, এমন কাউকে আমাদের পানি ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।
নিরাপত্তা খাতে ভারতের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি আমাদেরকে আরো দেখতে হবে যে অন্যান্য দেশও শ্রীলঙ্কার সাথে সামরিকভাবে সুসম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির ব্যাপারে আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপত্তা চুক্তি সই করার আগে আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সেইসাথে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সেগুলো বিবেচনা করতে হবে। আমরা অর্থনৈতিক সুবিধাকে সামরিক সুবিধা থেকে আলাদা করতে পারি না।
এমনকি ভারতেরও এই নীতি রয়েছে। আমি শুনেছি, অজিত দোভাল ও জয়শঙ্কর বলেছেন যে ভারতের উচিত ইস্যুভিত্তিক বহু জোটীয় নীতি থাকা। আমরা শ্রীলঙ্কায় এই নীতি অনুসরণ করছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জলদস্যূ ইস্যুতে শ্রীলঙ্কা এখানে সব দেশের নৌবাহিনীকে স্বাগত জানায়। তবে এটি বিশেষ একটি বিষয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন স্নায়ুযুদ্ধে রয়েছে। চীনকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবকিছু করছে। শ্রীলঙ্কা এতে কিভাবে প্রভাবিত হবে? শ্রীলঙ্কায় চীনের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে ও করছে। এসব বিনিয়োগ কি বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করবে?
দুটি হাতি যখন লড়াই করে, তখন ঘাস পদদলিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিরোধ এখন বাণিজ্যযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এটি অনেকভাবেই শ্রীলঙ্কাকে আঘাত করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অবরোধের ফলে ইরানে শ্রীলঙ্কার চা রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র ২৪টি চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেছে। এগুলোর কয়েকটি শ্রীলঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ও নির্মাণকাজের সাথে জড়িত। যেমন সিসিসিসি সাবসিডিয়ারি সিএইচইসি কলম্বো পোর্ট সিটি নির্মাণ করছে। তবে ভবিষ্যতে এই অবরোধ শ্রীলঙ্কাকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বিতর্কিত মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশন কম্প্যাক্ট (এমসিসি) ও স্ট্যাটাস অব ফোর্সেস এগ্রিমেন্ট (সোফা) চুক্তির জন্য শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসবের কিছু ধারা অসাংবিধানিক এবং পরিবর্তন করা যেতে পারে। সরকারের এ ব্যাপারে অবস্থান কী?
এমসিসির ব্যাপারে সরকারের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারিত হলে তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে, তারপর পার্লামেন্টে পেশ করা হবে। সরকার সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক পথ অবলম্বন করবে।
এর আগে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এক্সেস অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসেস এগ্রিমেন্ট নামে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৭ সালে তা নবায়ন করা হয়। এই চুক্তি এলটিটিইর ভাসমান ওয়্যারহাউজগুলো শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সহায়ক হয়েছিল। কিন্তু সোফা বিরোধপূর্ণ। কারণ এটি শ্রীলঙ্কার আইনি কাঠামোর বাইরে মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যক্তিদের অস্ত্র, যোগাযোগ সরঞ্জাম বহন ও নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করার সুযোগ এনে দেবে। যেকোনো চুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে দেশের স্বার্থ, সংবিধান ও আইনের আলোকে।
কলম্বো বন্দর হলো ভারতের ট্রানশিপমেন্ট কেন্দ্র। বন্দরের ইস্টার্ন কন্টেইনার টার্মিনালে (ইটিসি) সংশ্লিষ্ট হতে চায় ভারত। কিন্তু ভারতীয় সম্পৃক্ততার বিরোধিতা করছে শ্রীলঙ্কার জাতীয়তাবাদীরা । শ্রীলঙ্কা এই ত্রিভূজ কিভাবে সমাধান করবে?
প্রেসিডেন্ট ইসিটির ব্যাপারে ইতোপূর্বে ভারত ও জাপানের সাথে করা চুক্তিগুলোর প্রতি সম্মান দেখাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবশ্য বন্দর শ্রমিকেরা এই চুক্তির বিরোধী। আবার বন্দরের মতো জাতীয় সম্পদগুলো শ্রীলঙ্কার হাতে রাখাও সরকারের নীতি। এসব সম্পদে শ্রীলঙ্কার হাতে কমপক্ষে ৫১ ভাগ শেয়ার থাকা উচিত। সব বিষয় ও সব পক্ষকে বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সার্ক কেন অকার্যকর হলো বলে আপনি মনে করেন? ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে কি সার্ককে একীভূত করা যায়?
ভারত প্রতিবেশী প্রথম নীতি দিয়ে শুরু করলেও এখন তা প্রতিবেশী আগে বাদ নীতিতে অর্থাৎ পাকিস্তানকে বাদ দেয়ার নীতিতে পরিণত হয়েছে। অবশ্য, প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীল সফরে প্রমাণ করে, নিকট প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকারকে ভারত কতটুকু গুরুত্ব দেয়। সার্কের ব্যাপারে বলা যায়, এটি তার সম্ভাবনা মোটেই পূরণ করতে পারেনি। সার্ক একটি পুরনো সংগঠন। এটি শুরু হয়েছিল বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে। কিন্তু আসিয়ানের সাথে তুলনা করে বলা যায়, সার্ক অর্থনৈতিকভাবে একীভূত হয়েছিল একেবারে খুবই কম পর্যায়ে। সার্কের একীভূত প্রায় ৫ ভাগ, আর আসিয়ানের প্রায় ২০ ভাগ। এর মানে হলো, আসিয়ান তার বাজারের জন্য বাইরের পাশাপাশি তাদের গ্রুপের দিকেও তাকায়। অন্যদিকে, আমরা সার্ক অঞ্চলের চেয়ে বাইরের দিকে বেশি তাকাই। সার্কে আমরা রাজনৈতিক ইচ্ছাকে এগিয়ে যেতে দেখি না। এ কারণে ভারত এখন বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরিয়াল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) দিকে নজর দিচ্ছে।
সার্কের উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈকি পরিমণ্ডলে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। উন্নয়নের জন্য আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে, এটা আমাদের বুঝাতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠী বিশাল। এখানে বড় মধ্যবিত্ত শ্রেণী রয়েছে, যারা বেশি আয় করে ও বেশি ব্যয় করে। তাই আমাদেরকে বেশি উৎপাদন করতে হবে এবং আমাদের মধ্যেই বেশি বাণিজ্য করতে হবে। সার্ক কার্যকর করার জন্য যে জিনিসটির ঘাটতি রয়েছে সেটা হলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব। সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও সার্কের কার্যক্রম রয়েছে কিন্তু আমাদেরকে এর বাইরে বাণিজ্য, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এটা করতে না পারলে সার্কের ভবিষ্যৎ তেমন উজ্জ্বল নয়।
সার্ক জোরদার করতে শ্রীলঙ্কার করণীয় কী?
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি শ্রীলঙ্কা অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে। শ্রীলঙ্কা বড় দেশ নয়, তবে সে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে। সার্ক পুনরুজ্জীবিত করতে হলে এই অঞ্চলের দুই বড় রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকতে হবে। সেটা ছাড়া কিছু করা যাবে না।
ভুটান সার্কের সদস্য হলেও এখনো ‘উপেক্ষিত’? থিম্ফুতে বেশিরভাগ সার্ক দেশের দূতাবাস নেই। সেখানে কূটনৈতিক মিশন স্থাপনের কথা কখনো ভেবেছে শ্রীলঙ্কা?
ভুটান স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। কোন দেশের আকার ও জনসংখ্যা আমাদের বিবেচ্য নয়। সব দেশকে আমাদের সমান অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তবে ভুটানের অবস্থান শ্রীলঙ্কা থেকে বেশ দূরে। তাদের সঙ্গে স্থল বা জলপথে কোন সংযোগ নেই। তাই তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কিছুটা অনিচ্ছা ও আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো কূটনৈতিক মিশন রাখার খরচ। এক্ষেত্রে ব্যয়-আয় বিশ্লেষণটি করতে হবে। সে কারণে আমাদের কোন কূটনৈতিক মিশন নেই। আমাদের কিছু অর্থনৈতিক তৎপরতা, জনগণের পর্যায়ে যোগাযোগ ও রাজনৈতিক কার্যক্রম থাকা উচিত। এখানে সার্ক ও বিমসটেক সহায়তা করতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা তুলনামূলক ভালো করেছে। এ ব্যাপারে প্রতিবেশীদের প্রতি কোন বার্তা দেয়ার আছে শ্রীলঙ্কার?
আমরা শ্রীলঙ্কায় যা করেছি, যা সবাই দেখতে পারে। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমরা বেশ ভালো করেছি। গত ১৫০ দিন ধরে আমাদের কোন ভাইরাস সংক্রমণ নেই। মৃত্যুর হার মাত্র ০.৪% এবং নিরাময়ের হার ৮৫%-৯০%। কিছু রোগী পাওয়া যাচ্ছে তবে তারা বিদেশ-ফেরত। তাদেরকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে যেন অন্যদের সংক্রামিত না করে। এখন পর্যন্ত কমিউনিটি সংক্রমণ হয়নি। এই সফলতার জন্য আমি সবার আগে শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে কৃতিত্ব দিবো, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টকে। চীনে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়া মাত্র শ্রীলঙ্কার প্রেসেডেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আমরা প্রথম রিং ও দ্বিতীয় রিং শনাক্ত করি। তাদেরকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সব কিছু তদারকি করার জন্য কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। সরকারি কর্মচারিদের সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দ্বীপজুড়ে বিদ্যমান সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কাজ করেছে। এগুলো কোডিভ-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক হয়েছে। ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে সরঞ্জাম ও ওষুধ সহায়তা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। আমরা ফিডব্যাক পাচ্ছিলাম এবং এর ভিত্তিতে আমাদের কার্যক্রমের ত্রুতি সংশোধন করে জাহাজকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে গেছি।
প্রাদেশিক পরিষদের প্রতিমন্ত্রী রিয়ার এডমিরাল সরথ বিরাসেকারা বলেছেন যে (১৯৮৭ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কা চক্তির পর প্রতিষ্ঠিত নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ গঠনে) সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী বাতিল করা হবে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী যেখানে ভারত এর জামিনদাতা?
এ ব্যাপারে কথা বলার উপযুক্ত কেউ আমি নই। তবে প্রাদেশিক পরিষদকে অনেক ‘শ্বেত হস্তি’ বলে মনে করেন। দেশ এখন একটি সম্পূর্ণ নতুন সংবিধানের দিকে যাচ্ছে। নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়নকালে ১৩তম সংশোধনী অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে সার্বিক আলোচনা হবে।
এডমিরাল (অব:) কলম্বাজ শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান। ২০১৮ সালে তার পিএইচডি থিসিস ‘এসিমেট্রিক ওয়্যারফেয়ার অ্যাট সি: দ্য কেস অব শ্রীলঙ্কা’ প্রকাশিত হয়। পররাষ্ট্র সচিব নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা