আমরা লাইভে English সোমবার, জুন ০৫, ২০২৩

একবিংশ শতকের অর্থনৈতিক রোডম্যাপ চালু করেছে ভুটান

একবিংশ শতকের অর্থনৈতিক রোডম্যাপের ব্যাপারে ভুটানের নাগরিকরা যাতে অংশগ্রহণ করতে এবং অবদান রাখতে পারে, সে জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি ওয়েবসাইট ও সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে গ্রোস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস কমিশন (জিএনএইচসি)। 

ভুটানের একবিংশ শতকের অর্থনৈতিক রোডম্যাপ এ বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে। এই রোডম্যাপ আগামী দশ বছর ভুটানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ভুটানের অর্থনৈতিক রোডম্যাপ উন্নয়নের পথে এই ওয়েবসাইট চালুর বিষয়টি আরেকটি পদক্ষেপ। 

রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করার জন্য যদিও বিভিন্ন কমিটি ও গ্রুপ এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে, তবে এই ওয়েবসাইটটি তৈরির ফলে ভুটানের সর্বস্তরের নাগরিকরা এখন এর সাথে জড়িত হতে পারবে এবং এতে অংশ নিতে পারবে। 

কমিশনের মতে, এর ফলে ভুটান কোন পথে এগুবে সেটা নিয়ে জনগণের বোঝাপড়াটা আরও মজবুত হবে এবং দেশের অগ্রগতি নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে দায়বদ্ধতাটা আরও জোরালো হবে। 

একবিংশ শতকের জন্য একটা সুস্পষ্ট অর্থনৈতিক রোডম্যাপ তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা তৈরি করা। গত বছর ভুটানের জাতীয় দিবসের রয়্যাল বক্তৃতাতেও এই বার্তাটাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। 

“আমাদের প্রতিবেশী ভারত ও চীন অসামান্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, অটোমেশান, বিগ ডাটা, ব্লকচেইন, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মতো ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ফিনটেক – ডিজিটাল মুদ্রা, ডিজিটাল ওয়ালেট, ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর মতো পদক্ষেপ। 

বিশ্ব দ্রুত বদলাচ্ছে। যেটা আমরা বুঝি না, সেটাকে বাদ দিয়ে এখন আমরা চলতে পারবো না এবং এভাবে ভালোটা আমরা আশা করতে পারি না। এ ধরণের মনোভাব আমাদের জাতীয় লক্ষ্য ও স্বনির্ভরতা অর্জনে বাধা সৃষ্টি করবে। 

পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমাদেরকে অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। দ্রুত-বিকাশমান পৃথিবীতে সাফল্যের জন্য আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। সরকার, আইন প্রণেতা, প্রাইভেট খাত, জনগণ এবং বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদেরকে মিলিতভাবে একবিংশ শতকের জন্য একটা সুস্পষ্ট অর্থনৈতিক রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, যেটা প্রত্যেক স্বতন্ত্র ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব ভূমিকা সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করবে এবং একটা অভিন্ন জাতীয় লক্ষ্যে সবাই কাজ করতে পারবে”।

তখন থেকেই একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোডম্যাপ তৈরির প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিবেন এগারো সদস্যের একটি জাতীয় টাস্কফোর্স। সিভিল সার্ভিসের বাইরেও বিভিন্ন খাতের সদস্যদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। 

আগামী ১২ মাস ধরে তারা পরিকল্পনা তৈরি করবেন এবং উচ্চ পর্যায়ের রাউণ্ড টেবিল কমিটিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব পেশ করা হবে। এই কমিটির নেতৃত্ব দিবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।