আমরা লাইভে English বুধবার, জুন ০৭, ২০২৩

৬৫% ভুটানির বাড়িতে বর্জ্য সংগ্রহ সেবা নেই

ENVIRONMENT-ENG-09-05-2020

ভুটানে প্রতিদিন যে বর্জ্য তৈরী হয়, তার অর্ধেকই আসে গৃহস্থালি থেকে। কিন্তু দেশের ৬৫ শতাংশ বাড়িতেই বর্জ্য সংগ্রের কোন সেবা নেই। 

শহুরে এলাকার চার ভাগের এক ভাগ বাড়ি এই সেবার আওতার বাইরে রয়েছে। এই হার গ্রামীন এলাকায় প্রায় ৮৫ শতাংশ। 

দেশের প্রথম জাতীয় বর্জ্য ইনভেন্টরি সার্ভেতে (এনডাব্লিউআইএস-২০১৯) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক সামনে উঠে এসেছে। 

প্রতি ১০টি বাড়ির মধ্যে আটটি বাড়ি জানিয়েছে যে, তারা বর্জ্য আলাদা করে রাখে। অন্যদিকে অর্ধেকের বেশি বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন যে, তারা বর্জ্য কোন গর্তে ফেলেন অথবা পুড়িয়ে ফেলেন। 

গ্রামীন এলাকায় ৫৫ শতাংশের বেশি বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন যে, তারা বর্জ্য হয় কোন গর্তে ফেলেন অথবা পুড়িয়ে ফেলেন, কারণ তাদের কাছ থেকে বর্জ্য সংগ্রহের কোন সেবা চালু নেই। 

যে সব বাড়িতে বর্জ্য সংগ্রহ সেবা চালু আছে, তাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের বেশি এই সেবা ব্যবহার করেন। 

রিপোর্টের ভাষ্য অনুযায়ী অনুপযুক্ত সময়ের কারণে এবং বর্জ্য সংগ্রহের অবস্থানের জায়গাটা অনেক দূরে হওয়ায় এই সেবা সবার কাছে পৌঁছায়নি। 

ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট কমিশন সেক্রেটারিয়েটের (এনইসিএস) ওই জরিপে দেখা গেছে যে বাড়িগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮১,০০০ কেজি বর্জ্য তৈরি হয়। 

গড়ে প্রতিটি বাড়ি থেকে গড়ে ০.৫ কেজি সলিড বর্জ্য তৈরি হয়। 

জরিপে দেখা গেছে যে, শহুরে ঘরবাড়ি থেকে গড়ে প্রতিদিন ০.৭ কেজি বর্জ্য তৈরি হয়, অন্যদিকে গ্রামীন এলাকার বাড়ি থেকে তৈরি হয় ০.৪ কেজি বর্জ্য। 

সলিড বর্জ্যের অর্ধেকই হলো খাবারের বর্জ্য, এর পরেই ২০ শতাংশ হলো প্লাস্টিক। 

শহর ও গ্রামীন এলাকা উভয় জায়গাতেই প্লাস্টিক আর স্যানিটারি বর্জ্যের পরিমাণ মোট বর্জ্যের ছয় শতাংশ। ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের পরিমাণ সবচেয়ে কম এবং পুরো বর্জ্যের এক শতাংশেরও কম। 

বাসাবাড়ি ছাড়াও জরিপে বাণিজ্যিক ভবন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইন্সটিটিউট এবং অন্যান্য খাতের বর্জ্যের তথ্যও সংগ্রহ করেছে। মূলত সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি গ্রহণ ও পরিকল্পনার সহায়তার জন্য এ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপে। 

দেশে প্রতিদিন যে মোট ১৭২,১৬১ কেজি সলিড বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, সেখানে বাসাবাড়ির পরেই রয়েছে বাণিজ্যিক বর্জ্য, যেটা মোট বর্জ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ। 

জরিপে দেখা গেছে যে মোট বর্জ্যের মধ্যে ৪৬ শতাংশ হলো খাদ্যবর্জ্য, এর অর্থ হলো এগুলো দিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করা সম্ভব। প্লাস্টিক আর কাগজ হলো মোট বর্জ্যের ৩৩ শতাংশ, যেগুলো পুনরায় ব্যবহার করা যায়।