আমরা লাইভে English শনিবার, এপ্রিল ০১, ২০২৩

অরুনাচল প্রদেশ ভারতের অংশ নয়, জোর দাবি চীনের

REPORT-1-ENG-08-09-2020-China

হিমালয়ের লাদাখ অঞ্চলে সামরিক অচলাবস্থার মধ্যে ভারতের জন্য নতুন মাথা ব্যাথার কারণ ঘটিয়ে চীন সোমবার জোর দিয়ে বলেছে যে তারা কখনো কথিত অরুনাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

বেইজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন: চীন কখনো অরুনাচল প্রদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি, যা আসলে চীনের দক্ষিণ তিব্বত।

প্রায় ১৮ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত অরুনাচল প্রদেশ চীন ও ভারতকে আলাদা করে রেখেছে। এটা ভারত উত্তর-পূর্ব অঞ্চল।

চীনের কাছ থেকে এমন এক সময় এই বিবৃতি এলো যখন দুই দেশ গত মে থেকে বিতর্কিত জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখ এলাকায় গুরুতর সামরিক অচলাবস্থার মুখোমুখি।

অরুনাচল প্রদেশ নিয়েও ভারতের সঙ্গে চীনের বিরোধ চলছে বহুদিন ধরে। অঞ্চলটি চীন দাবি করলেও তা এখন ভারতের কার্যকর নিয়ন্ত্রণে।

ওই অঞ্চল থেকে পাঁচ ভারতীয় অপহৃত হয়েছে বলে এক অভিযোগ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন ঝাও।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রী কিরেন রিজিজু রোববার বলেন যে অরুনাচল প্রদেশের একটি গ্রাম থেকে পাঁচ ভারতীয়কে গত ৪ সেপ্টেম্বর চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে খবর প্রকাশের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী এ ব্যাপারে চীনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। রিজিজু অরুনাচল প্রদেশের এমপি।

ঝাও বলেন, ওই এলাকায় পাঁচ ভারতীয় নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় সেনাবাহিনী পিএলএ’র কাছে কোন বার্তা পাঠিয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোন খবর আমার কাছে নেই।

যুক্তরাষ্ট্র মুক্তবাজার ও নিরপেক্ষ প্রতিযোগিতা নষ্ট করছে

বেইজিং ওয়াশিংটনেও সমালোচনা করেছে তার ভাষায়, মুক্তবাজার, প্রতিযোগিতার নিরপেক্ষতা, আইনি শাসনের চেতনা ও আন্তর্জাতিক রীতি ধ্বংস করার জন্য, যেগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গর্ব করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের এসব তৎপরতা প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ধারণার অপব্যবহার করে কোন প্রমাণ ছাড়াই চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করছে চীন তার প্রবল বিরোধিতা করে, এটা নিখাদ আধিপত্যবাদ। চীনের শীর্ষ চিপ প্রস্তুতকারক এসএমআইসি’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ঝাও এ কথা বলেন।

চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন রাজনীতিকদের ঢালাও মন্তব্য সম্পর্কে চীনা মুখপাত্র বলেন, ন্যায্য ও স্বচ্ছ পথে প্রতিযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জর্জ অরওয়েলের ‘১৯৮৪’-এর মতো একটি বিশ্ব তৈরি করতে চায়। তারা এটি একবিংশ শতকে রফতানি করতে চায়।