ভারত সীমান্তের কাছে মহড়ায় সরঞ্জাম পরিবহনে ড্রোন ব্যবহার করছে পিএলএ

হিমালয় অঞ্চলে, সমুদ্র সমতল থেকে ৪,৫০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় চীনের যেসব সেনা মহড়ায় অংশ নিচ্ছে তাদের কাছে রসদ ও সরঞ্জাম পাঠানোর জন্য পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তিব্বত মিলিটারি কমান্ড ইউএভি বা ড্রোন ব্যবহার করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই নতুন ও উদ্ভাবনি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পিএলএ তার নতুন আধুনিক লজিস্টিক সাপোর্ট পদ্ধতি দেখালো। পাশাপাশি তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেলেও সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতিতে তাদের ঘাটতি নেই।
চীনের সেন্ট্রাল টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, পিএলএ’র লজিস্টিক সেনারা গাড়িতে করে গরম খাবার নিয়ে আসছে। যেখানে রাস্তা শেষ হয়ে গেছে সেখানে তারা ওই খাবার, পানি ও ওষুধসহ, প্যাক বেশ কিছু ড্রোনে যুক্ত করে দেয়। এসব ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে রণাঙ্গনের সৈনিকদের কাছে ‘কেয়ার প্যাকেজ’ পৌছে দেয়।
এই মহড়ায় নতুন লজিস্টিক সাপোর্ট কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে—স্থল ও আকাশ—দুই পথেই। পিএলএ সেনারা যদি কোন সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয় তাহলে এ ধরনের লজিস্টিক সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সামরিক বিশেষজ্ঞ ও টিভি ভাষ্যকার সং ঝংপিং বলেন, মহড়ায় যেসব লজিস্টিকস দেখানো হয়েছে সেগুলো সেনাদের দক্ষতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জটিল উপত্যকার মধ্যে লজিস্টিকস সহায়তা পাঠানো খুবই কঠিন।
আর সে কারণে, ড্রোন ও অন্যান্য উপায়ে আকাশ পথে সহায়তা পাঠানোর কৌশল গ্রহণ করছে তারা।
নির্ধারিত জায়গায় দ্রুত সরবরাহ পাঠানোর জন্য ড্রোন খুবই কার্যকর। এতে পিএলএ’র যুদ্ধক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।
সং বলেন, ভিডিওতে দেখা যায় যে ভারতের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে গেলেও সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের জন্য চীনের প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে।
মনুষ্যবিহীন যুদ্ধে ড্রোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটা একই সঙ্গে কমব্যাট মিশন ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে পারে।
তাই ভবিষ্যতে সংঘাত বাধলে পিএলএ যে ড্রোন থেকে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করবে এই ঘটনায় তা পরিষ্কার, বলেন সং।