আমরা লাইভে English বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৩, ২০২৩

‘দল বিব্রত হলেও সত্য বলে যাবো’

257754_noas

আব্দুল কাদের মির্জা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই। নোয়াখালীর  কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। আগামী ১৬ই জানুয়ারি এ পৌরসভার নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি। হঠাৎই আলোচনার শীর্ষে এই আওয়ামী লীগ নেতা। নির্বাচনী অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব তিনি। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এরইমধ্যে গতকাল তার কার্যালয়ে মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপ করেছেন খোলামেলা।

কথা বলেছেন আলোচিত সব ইস্যুতেই। 

মানবজমিন: এতোদিন আপনি কোনো কথা বলেননি, কিন্তু এখন বলছেন কেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: আমার শরীরে টিউমার হয়েছিল। আমি চিকিৎসা করার জন্য আমেরিকা গিয়েছিলাম। ওখানে আমার সুবিধা হলো ইন্স্যুরেন্স করা ছিল, আমার তেমন একটা টাকা লাগেনি। আমার এলাকার  অনেক বন্ধু-বান্ধব ও অনুসারী আছে, তারা আমাকে সহযোগিতা করে। আমি মূলত তাদের টাকায় চলি। তারাই আমাদের নিয়ে গেছে। আমি চিন্তা করে যেখানে টাকা লাগবে না, সেখানেই চিকিৎসা করাতে গিয়েছি। ওখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দু’টি টিউমার ধরা পড়ে। তখন আমার একটা চিন্তা এলো, আমি তো মরে যাবো। ভাবছি দেশে তো আর ফিরে যেতে পারবো না। যে টিউমারটা পাওয়া গেছে সেটা খুব খারাপ টিউমার। আল্লাহ্‌র অশেষ মেহেরবানী আমার কিছু হয়নি। আমার টিউমারে কোনো ক্যান্সার পাওয়া যায়নি। তখন তো ঘরেই ছিলাম। করোনার কারণে। তখন আমার অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে, নোয়াখালীর রাজনীতি নিয়ে। এরপরে যখন বাংলাদেশে আসি। তখন বিমানবন্দরে বলেছি, আমি যতদিন বেঁচে থাকি সাহস করে সত্য কথা বলে যাবো। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বলে যাবো।

মানবজমিন: নোয়াখালীর রাজনীতিতে কি হয়েছে?

আব্দুুল কাদের মির্জা: নোয়াখালীর কমিটিতে কোনো ত্যাগী নেতা নেই। আমাদের সাহাবুদ্দিন সাহেব কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, নীতি-নৈতিকতা নিয়ে রাজনীতি করে। আমাদের হাতিয়াতে মোহাম্মদ আলী সাব আছে, মোহাম্মদ উল্লাহসহ অনেকেই অবহেলিত। নূরুল হক সাহেবের ছেলে বাদশাহ সে এটা নিয়ে টেনশনে স্ট্রোক করে মারা গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এটার পেছনে নোয়াখালীর এমপি একরাম ছিল। সে করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করেছি।

মানবজমিন: একরাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আপনি কথা বলছেন কেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: টেন্ডার বাণিজ্য করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামাচ্ছে একরামুল করিম চৌধুরী। পুলিশের চাকরি থেকে পাঁচ লাখ টাকা, একজন গরিব স্কুলের পিয়ন থেকে পাঁচ লাখ টাকা, গরিব স্কুল শিক্ষকের চাকরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা, ডিসি অফিসে চাকরি দিয়ে তিন লাখ টাকা নেয়। এই ধরনের অনেক অনিয়ম নোয়াখালীতে হচ্ছে। এটা আপনারা খোঁজখবর নিলেই পাবেন।  ফেনীর ব্যাপারে আমার স্পষ্ট বক্তব্য- আমার বাড়িতে চারবার আক্রমণ হয়েছে। সেগুলো বেশির ভাগ নিজাম হাজারী করিয়েছেন। কিছু আছে এখানকার লোকজন করিয়েছে। আমি নিজাম হাজারীকে বলেছি এগুলো আপনি বন্ধ করেন। এখানে এগুলো করে তো জয়নাল হাজারী এখান থেকে বিদায় নিয়েছেন। এখন আপনার আমলে এগুলো হবে, সেগুলো চিন্তাও করি না। আর একটা বিষয় ফেনীর একরাম হত্যার বিষয়ে আপনার সবাই জানেন। কোনো বিচার হয়নি।

মানবজমিন: বিচার হয়নি কেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: বিচার করে না কেন জানি না। সে প্রভাবশালী। এই জন্যই করেনি। কেউ মামলায় পড়েনি। পড়েছে নিরীহরা। এই মামলার আসামিরা বেশির ভাগই নিরীহ। প্রকাশ্যে দিবালোকে, নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আমি মনে করি বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র ঘটনা। তাকে প্রথম গুলি করেছে, তার গাড়ির ভিতর পেট্রোল মেরে গাড়িসহ পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এটার প্রতিবাদ করেছি। আমি বলেছি এটার পুঃনতদন্ত করা হোক। সত্যিকারের অপরাধী যারা তাদের যেন বিচার করা হয়।

মানবজমিন: আপনার বক্তব্য গণমাধ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর অনেকে বলেছে তাদের সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব রয়েছে, এই কারণে ক্ষোভ নিয়ে তাদের আপনি ছোট করছেন...

আব্দুল কাদের মির্জা: ফেনী এলাকার সঙ্গে আমার কিসের বিরোধ। ওটাতো আরেকটা জেলা। আমার সঙ্গে কি দ্বন্দ্ব। একরামুল করিম চৌধুরী তাদের সঙ্গেও আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমি জেলার প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি হলে ধুলোবালু পড়ে থাকবে অফিসে। আমি সেখানে গিয়ে কি করবো। আমার কোনো নেতৃত্বের দরকার নেই। আমি নেতৃত্বে  চাই, সেলিম ভাই নোয়াখালীর প্রেসিডেন্ট আছেন, সেক্রেটারি বানানো হোক শাহিন বা সোহেলকে। একরামের মতো ছেলে দুনিয়ার সকল অনিয়মের সঙ্গে জড়িত।

মানবজমিন: নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: কোনো  কোন্দল নেই। যদি কোনো কোন্দল থেকে থাকে সে (একরাম) সৃষ্টি করছে। সকল ত্যাগী নেতাকে সে বের করে দিয়েছে। মাহমুদুর রহমান বেলায়েত নোয়াখালীর সাহসী পুরুষ। তার সঙ্গে কথা বইলেন। দেখবেন সে সব বলবে। সে (একরাম) কি করতে চাইছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও লুটপাট করে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। এখন তার ছেলেকে লাগিয়ে দিয়েছে। তার ছেলে ওখানে দুনিয়ার সকল অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। অস্ত্রবাজি থেকে শুরু করে সব করছে সে। আমার এলকায় অস্ত্র পাঠিয়েছে, আমাকে মারার জন্য। আমার ছেলেকে মারার জন্য।

মানবজমিন: বিষয়টি আপনি নিশ্চত হলেন কীভাবে?

আব্দুল কাদের মির্জা: তারা বার বার মিটিং করেছে। আমাকে এটা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানিয়েছে। আমাকে গোপনে জানিয়েছে। মাইজদীতে আমার লোক আছে না। তারা বলেছে।

মানবজমিন: অনেকে বলছে আপনার নির্বাচনী মাঠের অবস্থা খারাপ, সেটা চাঙ্গা করার জন্য আপনি এমন বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন...

আব্দুল কাদের মির্জা: আমি সাংবাদিকদের জাতির বিবেক বলি। আপনারা ১৬ তারিখ নির্বাচনে আসেন, দেখেন কি হয়। এখনো  বেশির ভাগ সাংবাদিক সাহস করে সত্য কথা বলে এবং লেখে। এই লোকগুলোকে আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সব দায়িত্ব আমার। নির্বাচনের দিন আসেন। তারা দেখবেন নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা। আমি আমার জায়গা থেকে বলতে পারি...যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আর আমি যদি একটা ভোটও পাই তাহলে আমি মেনে নিবো। আমার বিপরীত প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাবো।  পরে আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে চা মিষ্টি খেয়ে আমি চলে যাবো।

মানবজমিন: সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আপনার মধ্যে একধরনের সংশয় আছে। আপনাদের দল একযুগ ধরে ক্ষমতায় তারপরেও কেন এতো সংশয়?

আব্দুল কাদের মির্জা: এগুলো বললে তো ভাই..... আমি কি বিপদে আছি। আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। যা করছে আমার সঙ্গে। জননেত্রী শেখ হাসিনা গত সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রশাসন  ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে একটা ফল চেয়েছেন। তারা কি দিয়েছে? তারা গাছশুদ্ধ দিয়ে দিয়েছে। এই অতি উৎসাহী।

মানবজমিন: এখন আপনার পরিকল্পনা কি?

আব্দুল কাদের মির্জা: এখন আমার প্ল্যান হচ্ছে, নোয়াখালীতে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে। এখন আমরা যে বলতেছি ভোট কারচুপি নিয়ে... এটাতো জিয়াউর রহমান শুরু করে  গেছে। করে নাই, হ্যাঁ-না ভোটের মধ্য দিয়ে। বিএনপি একমাত্র ১৯৯১ সালের নির্বাচনে, তত্ত্বাবধায়কের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে। আর একটা নির্বাচনে দেখান...তারা সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতায় আসছে। আওয়ামী লীগের আমলে ১৯৯৬ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যাপকভাবে সারা দেশে জিতেছে। কিন্তু আমাদের নোয়াখালীতে দু’টা জায়গায় জিতেছে। আমাদের নোয়াখালীতে কোনো পরিবর্তন হইছে?  অনেক চামচা বলছে, অমুক নেতার নেতৃত্বে এখানে বিএনপি’র দুর্গ ভাঙছে। এসব কথা বার্তা বলে। কি দুর্গ ভাঙছে? এখনো ওবায়দুল কাদেরেসহ তিন-চারজন এমপি ওভারকাম করতে পারবেন। ওবায়দুল কাদের পারবেন ওনি উন্নয়ন করছেন এইজন্য। উনি সৎ একনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। এইজন্য তিনি আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচনে জিতবে।

মানবজমিন: আপনি যে এভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে দল ও আপনার ভাইয়ের প্রতিক্রিয়া কি? এটা নিয়ে কি বলবেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: এখন এই যুগে তো দল বিব্রত হওয়ার কথা। সেন্ট্রালি তো অনেক বিষয় আছে। আমি ছোটখাটো কর্মী আওয়ামী লীগের। বড় কথা বলা ভালো না। আমি নোয়াখালীর চিত্রটা বলেছি। সারা বাংলাদেশেরটা না। এখনো যদি শেখ হাসিনা ভালো প্রার্থীগুলো দেন, জয় হবে আওয়ামী লীগের। শেখ হাসিনা আজকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নোয়াখালীতেও করছেন।  কিন্তু, চামচারা খেয়ে ফেলছে। সব লুট করে ফেলছে। আপনারা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেন। আমি এই কথাটা বলেছি, আরো তিন বছর আছে। নেত্রী এদিকে নজর না দিলে নোয়াখালীর অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না।

মানবজমিন: অপনি যখন জানতে পারলেন, আপনাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে আপনি কি থানায় জিডি করেছেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: আমি সবাইকে জানিয়েছি। আমি এই কথাটা বলতে গিয়েছি ডিসি’র কাছে। ডিসি আমার কথা শোনেননি। এখন তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। তিনি বলছেন আপনার কোনো কথা আছে কিনা। এখানে যখন অস্ত্র পাঠাচ্ছিল, আমাকে মারার জন্য। তখন আমি ডিসিকে বলেছি, আমি কিছু কথা বলতে চাই, শুনবেন কিনা। কিন্তু তিনি আমার কথা  শোনেননি। এখনো আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। প্রত্যেকদিন পোস্টার ছিঁড়ে। তবে প্রতিপক্ষ দল আমার কোনো পোস্টারে হাত দেয় না।

মানবজমিন: আপনার ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আপনি পৌর মেয়র। ক্ষমতাসীন দলের নেতা। সেই জায়গায় আপনার এতো নিরাপত্তাহীনতা কেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: এরা তো নোয়াখালীকে জিম্মি করে রেখেছে। খবর নেন। সন্দ্বীপের মোস্তাফির ছেলে মিতা আমার এলাকার হাজার হাজার একর জমি দখল করে রেখেছে।

মানবজমিন: আপনি বিষয়গুলো মন্ত্রী ও এলাকার এমপি ওবায়দুল কাদেরকে জানাননি?

আব্দুল কাদের মির্জা: উনার সঙ্গে আমার রাজনীতি নিয়ে তেমন একটা কথা্‌ হয় না। তাছাড়া তিনি তো অসুস্থ। তাই এই বিষয় নিয়ে আমি তেমন একটা কথা বলি না। তবে বিষয়গুলো শেয়ার করেছি। উনি আমাকে শান্ত থাকতে বলেছেন। বলেছেন শান্ত থাকো, এগুলো করো না। পরে আমি দেখতেছি।

মানবজমিন: তারপরও তো আপনি বলছেন...

আব্দুল কাদের মির্জা: উনি বলেছেন কিছু কিছু বিষয় আছে বলিও না। কিন্তু আমার তো সাহস করে সত্য কথা বলতে হবে। আমি তো কমিটেট। একটা জায়গা থেকে তো বলতে হবে।  এখন আমি এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। আমার লক্ষ্য অর্জনের আমি যা যা করার আমি করবো। আমি নির্বাচনটাকে নিয়েছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে। আমি শুধু নির্বাচনের কথা বলবো না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলে যাবো।

মানবজমিন: আপনি গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন। কেন?

আব্দুল কাদের মির্জা: সকল জায়গায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। তার দেশের প্রতি যে মমত্ববোধ, এটা কারোর মধ্যে নেই।  এই দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর টান ছিল, এরপরে শেখ হাসিনার। এর বাইরে কারো টান নেই। এই যে বেশির ভাগ নির্বাচনে দৈহিক শক্তি দেখিয়ে নির্বাচন করে। এটা কি শেখ হাসিনা জানে?  দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করছে, টাকা-পয়সা দিয়ে ভোট ক্রয় করেছে এটা কি শেখ হাসিনা জানে? যারা এগুলো করছে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাদের কি মানুষের  সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে? গত নির্বাচনে অতি উৎসাহীদের কারণে দেখাতে পারিনি। না হয় দেখাতে পারতাম ওবায়দুল কাদের কত বিপুল ভোটে জয় পান। আমাদের নেতারা তো এলাকায় যান না। নেত্রীর কাছে গিয়ে শুধু কান্নাকাটি করেন। নেত্রীর কাছে আমি তিনদিন গিয়েছি, ওই তিনদিনই কান্নাকাটি শুনেছি। এরা বসে বসে ওখানে কান্নাকাটি করেন। ওখানে নেত্রীকেও কাজ করতে দেয় না। শেখ হাসিনা না থাকলে বুঝবেন বাংলাদেশ কোথায়...।