আমরা লাইভে English বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৩, ২০২৩

সিমলা সংলাপ নিয়ে রাম মাধবের একান্ত সাক্ষাৎকার

ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ড। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পিটারহফ হোটেলে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এই আলোচনার শেষ দিন ছিল রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ও ভারতের বহু এমপি, মন্ত্রী-আমলা, সম্পাদক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র নীতি ও থিংক ট্যাংকের বিশেষজ্ঞরা।  ২০১৪ সাল থেকে এই প্ল্যাটফর্ম দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে আসছে।

এই সংলাপ প্রক্রিয়ার প্রাণপুরুষ বলা যেতে পারে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে আরএসএসের প্রভাবশালী নেতা রাম মাধবকে। এই নেতা একেবারে প্রথম থেকে এই আলোচনার প্ল্যাটফর্মটি তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন।

ভারতের দিকে প্রধান আয়োজক, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালনা সমিতির সদস্যও তিনি। সংলাপের মাঝপথে শুক্রবার তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউন প্রতিবেদকের। সেই সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো:   

বাংলা ট্রিবিউন: এই সংলাপ প্রক্রিয়াকে কি দুদেশের সরকারের সমান্তরালে একটি ‘ট্র্যাক-টু’ আলোচনা বলা যাবে?

রাম মাধব:আমি কিন্তু ট্র্যাক-টু নয়, বরং ট্র্যাক ওয়ান পয়েন্ট টু ফাইভ (১.২৫)-ই বলব। এটা ট্র্যাক-টুর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দাবি করে, এর কারণ একেবারে প্রথম থেকেই এই আলোচনাতে উভয় সরকারের মন্ত্রীরা থাকছেন, এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। থাকছেন দুদেশের এমপিরাও – সিমলাতেও যেমন দুপক্ষের অন্তত পনেরোজন পার্লামেন্টারিয়ান যোগ দিয়েছেন।

বাংলা ট্রিবিউন: কিন্তু ঠিক কী অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এই ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ?

রাম মাধব:আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল আমাদের নেতারা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে যে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাকেই আরও ‘সাপ্লিমেন্ট’ করা বা তাতে আরও গতি সঞ্চার করা। সেক্টর ধরে ধরে বললে কানেক্টিভিটি, সিকিউরিটি ইন্টারেস্ট বা নিরাপত্তা স্বার্থ কিংবা আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, এই ডায়ালগ সেগুলোতেই নজর দিচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশে গত বছর দুর্গাপুজোর সময় মণ্ডপ ভাঙচুর বা নির্যাতনের যে সব ঘটনা ঘটেছে ...

রাম মাধব:(থামিয়ে দিয়ে) না সেগুলো কিন্তু এখানে আলোচনার বিষয় নয়। দুই দেশের যেগুলো অভ্যন্তরীণ ব্যাপার তা নিয়ে আমরা কথা বলি না। আর ওরকম ইস্যু শুধু বাংলাদেশে তো নয়, আমাদের দিকেও ঘটছে। বরং আমরা বলব, অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো ঘটার পর শেখ হাসিনা সরকার ও মোদি সরকার যেভাবে সেগুলোকে সামলেছে বা ট্যাকল করেছে, সেটাকেই আমরা রেসপেক্ট করি!