দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রবেশপথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত

ইউরোপের সঙ্গে চীনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দরগুলোকে সংযুক্ত করতে ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর জাতিসংঘের ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার (এসকেপ) একটি আন্ত:মহাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক (টিএআর) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এশিয়ার ১৭টি দেশ চুক্তি সই করে। ইউরেশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বাড়ানোর লক্ষ্য ছিল প্রকল্পের।
ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহনের একটি স্থল সেতু গড়ে তুলতে যে রেল নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা করা হয় তার অনেকটাই বিদ্যমান। পরিকল্পনা ছিলো এই লাইনটিকে সিঙ্গাপুর থেকে ইস্তাম্বুল (তুরস্ক) পর্যন্ত টানা ১৪,০৮০ কিলোমিটার লাইনে পরিণত করা হবে। ঐতিহাসিক সিল্ক রোডের উদাহরণ টেনে এই রেল সড়ককে ‘আয়রন সিল্ক রোড’ নামেও আখ্যায়িত করা হয়।
১৯৫০’র দশকে এই উদ্যোগের সূচনা হয়। তবে ১৯৯০’র দশক পর্যন্ত নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে টিএআর এগুতে পারেনি। এর একটি কারণ ছিলো ইউরেশিয়ার দেশগুলোতে ‘রেল গজ’-এর ভিন্নতা। এশিয়া মহাদেশে চারটি প্রধান গজ ব্যবহার করা হয়। ভারত ও মিয়ানমার, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ড ও ইউনানের মধ্যে সংযোগ নেই। (বিস্তারিত আসছে)