আমরা লাইভে English বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩

ভারতে দলিতের ঘাস খাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন লেখায় সাংবাদিককে সরকারের নোটিশ

MEDIA-ENG-30-03-2020-1

ঘাস খাচ্ছে দলিতরা

বারানসি জেলার মুশাহার সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের গ্রামে ঘাস খেয়ে বেঁচে আছে বলে স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর এর দুই প্রতিবেদক ও পত্রিকা সম্পাদকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠিয়েছেন জেলা মেজিস্ট্রেট (ডিএম) কৌশল রাজ শর্মা।

সাংবাদিক বিজয় বিনেত ও মানিষ মিশ্রের প্রতিবেদনটি স্থানীয় দৈনিক জনাদেশ টাইমসে ২৬ মার্চ প্রকাশিত হয়। এতে বারানসি জেলার কইরিপুর গ্রামের অধিবাসীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী এলাকায় গ্রামটির অবস্থান। প্রতিবেদনে গ্রামের শিশুদের ঘাস খাওয়ার ছবিও দেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

দুই সাংবাদিক ও প্রধান সম্পাদক সুভাষিশ রায়ের কাছে পাঠানো নোটিশে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করতে বলা হয়।

নোটিশে ডিএম দাবি করেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য এডিএম-পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলেন এবং প্রমাণ পেয়েছেন যে প্রতিবেদনটি বানোয়াট। তিনি দাবি করেন, দলিতরা ঘাস খাচ্ছেন না তারা আঙ্কার ডাল (বন্য ডাল) খাচ্ছেন। এগুলো গমের ক্ষেতে আগাছার সঙ্গে জন্মায়।

শর্মা বলেন যে দলিতরা কাঁচা ছোলাও খায়, যা পুষ্টিকর খাবার। তিনি দাবি করেন, একটি মামুলি বিষয় নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করেছে স্থানীয় দৈনিকটি। তিনি আঙ্কার ঘাস সামনে নিয়ে নিজেও নিজের ছেলের একটি ছবি প্রকাশ করেন।

MEDIA-ENG-30-03-2020-2 (2)

ঘাস নিয়ে বসে আছেন বারানসির ডিএম কৌশল রাজ শর্মা ও তারে ছেলে

কোন প্রতিবেদন ছাপার কারণে উত্তর প্রদেশের সরকারের সাংবাদিকের পেছনে লাগার এটা দ্বিতীয় ঘটনা।

সংবাদ সত্য: সাংবাদিকদের দাবি

সাংবাদিক বিনেত তার সংবাদ সত্য বলে দি প্রিন্টের সঙ্গে আলাপকালে দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, এই রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট সব ছবি ও ভিডিও আমার কাছে আছে। এগুলোর কপি ডিএম-এর কাছে পঠিয়েছি। গত তিন চারদিন ধরে কইরিপুর গ্রামবাসীর অবস্থা খুবই করুন। লকডাউনের কারণে তারা কোথাও যেতে পারছে না। তাদের কাছে কোন টাকাও নেই।

নোটিশ নিয়ে কংগ্রেসের প্রশ্ন

এ ব্যাপারে কথা বলেছেন রাজ্যের কংগ্রেস সভাপাতি অজয় লালু। এক বিবৃতিতে তিনি সাংবাদিকদের কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়ায় রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, কেউ যদি আঙ্কর ঘাসও খায় তবুও উত্তর প্রদেশ সরকার ও প্রশাসনের লজ্জিত হওয়া উচিত। আর নিজের আচরণের জন্য ডিএম কৌশল রাজ শর্মাকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে।