আমরা লাইভে English বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০২৩

সেনাবাহিনীর সঙ্গে সু চি’র বিরোধ প্রকাশ করে দিয়েছে মিয়ানমারের সর্বশেষ শান্তি আলোচনা

https___s3-ap-northeast-1.amazonaws.com_psh-ex-ftnikkei-3937bb4_images_7_3_4_6_28946437-1-eng-GB_RTX1WS28

সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক নেতৃবৃন্দ ও জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হলো তাকে মিয়ানমারের কার্যত নেতা অং সান সু চি ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করলেও এর মধ্য দিয়ে তার বেসামরিক মন্ত্রিসভা ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে তীব্র বিভেদের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে।

শুক্রবার জাতীয় রাজধানী নেপিদোতে একবিংশ শতকের পাংলং শান্তি সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগে বিদ্রোহী সংখ্যালঘু গ্রুপগুলোর সঙ্গে শান্তিকে এগিয়ে নিতে সু চির এটা চতুর্থ ও চূড়ান্ত প্রচেষ্টা। শুক্রবার ইউনিয়ন চুক্তির যে অংশ-৩ সই হয় তাতে দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের একটি কাঠামো এবং একটি গণতান্ত্রিক ফেডারেল ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যে দেশটি ক্রমাগত জাতিগত বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে সেখানে সহসা ব্যাপকভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে কেউ আশা করে না।

শুক্রবারের সম্মেলনে নির্বাচিত সরকার প্রধান সু চি ও সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত বিভেদ স্পষ্ট হয়ে পড়ে। একেবারে শুরু থেকেই দুই জনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।

বুধবার সুচি জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপ ও সেনাবাহিনী প্রধানসহ সব স্টেক হোল্ডারের উপস্থিতিতে বলেন, বন্দুকের আওয়াজ বন্ধ করার চেয়ে শান্তি বিনির্মাণ অনেক বেশি অর্থবহ। 

তিনি বলেন, কুরাজনীতি সৃষ্টির জন্য দায়ী যে মনোভাব প্রভাব সৃষ্টির জন্য অস্ত্রের শক্তির প্রতি মননিবেশ করে তা দূর করার জন্যই শান্তি বিনির্মাণ। সামরিক বাহিনীর তৈরি করা সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তাও তিনি তুলে ধরেন। 

অন্যদিকে, সেনাপ্রধান হ্লাইং তার বক্তব্যে ইংগিত দেন যে এনএলডি তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শান্তি আলোচনাকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে।

তিনি যখন বলেন যে মিয়ানমারের সবাই সমান অধিকার ভোগ করছে তখন জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে আগ্রাসী ভঙ্গিতে ভিন্নমত পোষণ করে।