আমরা লাইভে English বুধবার, জুন ০৭, ২০২৩

কূটনৈতিক বিবাদে পাকিস্তান ও ভারত

REPORT-4-ENG-25-06-2020-Pak

পাকিস্তান মঙ্গলবার ভারতকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাসের জনবল সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়। নয়াদিল্লী একই ধরণের সিদ্ধান্ত দেয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিলো। 

এমন সময় পাল্টাপাল্টি এই পদক্ষেপ নেয়া হলো যখন দীর্ঘদিনের কাশ্মীর বিবাদকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ার পারমানবিক শক্তিধর দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

দুই দেশের ঐতিহাসিক শত্রুতামূলক সম্পর্কের কারণে কূটনীতিকদের বহিষ্কারের বিষয়টি ঠিক অস্বাভাবিক নয়। তবে সাম্প্রতিক বিবাদের সূচনা হয়েছে গত মাসের শেষের দিকে, ভারত যখন দুজন পাকিস্তানী কর্মকর্তাকে ‘গোয়েন্দাগিরির’ অভিযোগে বরখাস্ত করে। ফলে পাকিস্তানও একই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। 

মঙ্গলবার ইস্যুকৃত এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে যে, নয়াদিল্লীতে পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তারা কূটনৈতিক সম্পর্কের আন্তর্জারিত রীতিনীতি লঙ্ঘন করে ‘গোয়েন্দাবৃত্তিতে জড়িত রয়েছে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সাথে তারা যোগাযোগ রাখছে’। 

মন্ত্রণালয় বলেছে, “সে কারণে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, নয়াদিল্লীতে পাকিস্তান হাইকমিশনের জনবল ৫০% কমিয়ে আনা হবে”। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পাকিস্তান শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে এক সপ্তাহের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। 

ইসলামাবাদ দ্রুত ভারতের বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়েছে এবং পাকিস্তানী দূতাবাসের জনবল ৫০% কমানোর জন্য ভারত যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে। 

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে ভারতের কূটনৈতিক মিশনের ডেপুটি প্রধানকে তলব করে জানানো হয়েছে যে, ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তান ভারতের হাইকমিশনারের জনবল অর্ধেক কমিয়ে আনার নির্দেশ দিচ্ছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে এটা কার্যকর করতে হবে।

পাকিস্তানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত এই মুহূর্তে যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং অধিকৃত কাশ্মীরে তারা মানবাধিকারকে যেভাবে ভূলুণ্ঠিত করছে, সেটা থেকে মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর জন্যই ভারত সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে”।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার যখন গত আগস্ট মাসে একতরফাভাবে অধিকৃত কাশ্মীরের বহু দশকের আধা-স্বায়ত্বশাসনের মর্যাদা বাতিল করে, তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়েছে। 

নয়াদিল্লী একইসাথে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রেখেছে সেখানে গৃহীত সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো গোপন রাখার জন্য সেখানে যোগাযোগ লকডাউন জারি করে রেখেছে। 

নয়াদিল্লী কাশ্মীরের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বলে আসছে যে, কাশ্মীরে গৃহিত পদক্ষেপ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইসলামাবাদ এক তৃতীয়াংশ কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ করে। দুই দেশই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।