আমরা লাইভে English মঙ্গলবার, মে ৩০, ২০২৩

পাকিস্তানের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আবার শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র

অতি-কাঙ্ক্ষিত মার্কিন সামরিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কর্মসূচিতে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ আবার শুরু করার বিষয়টি অনুমোদন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। পররাষ্ট্র দফতর বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জন্য এই কর্মসূচি স্থগিত ছিল।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সামরিক সম্পর্কের স্তম্ভ ছিল এই ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং প্রগ্রাম (আইএমইটি)। এখন এতে ইসলামাবাদের অংশগ্রহণ আবার শুরু হওয়ার অর্থ হলো চলতি বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক সত্যিই উষ্ণ হচ্ছে।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের আলোচনার ব্যবস্থা করতে সহায়তার জন্যও ইসলামাবাদকে কৃতিত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর আইএমইটি পরিচালনা করে থাকে। এটি হলো পাকিস্তানে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা কর্মসূচির একটি ছোট অংশমাত্র। ওই সহায়তা ২০১৮ সালের জানুয়ারি হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেন ট্রাম্প। তিনি অজুহাত হিসেবে উগ্রপন্থীদের দমনে ইসলামাবাদের ব্যর্থতার কথা বলেছিলেন।

চলতি বছরের প্রথম দিকে অধিকৃত কাশ্মীরে একটি চরমপন্থী গ্রুপ অন্তত ৪০ ভারতীয় নিরাপত্তা সদস্যকে হত্যার পর মার্কিন কর্মকর্তারা এর সাথে সম্পৃক্ত উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

অবশ্য, ট্রাম্প প্রশাসন অনুমোদন দিলেও পাকিস্তানের ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আগে তাতে কংগ্রেসের ছাড়পত্র লাগবে। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অনুরোধ করা হলেও সিনেট অ্যান্ড হাউস রিপ্রেজেন্টিটিভস কমিটির রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সহযোগীরা সাড়া দেননি।

আইএমইটিতে ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ ও ইউএস নেভাল ওয়ার কলেজের মতো মার্কিন সামরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশী সামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

২০১৮ সালের আগস্টে ওই কর্মসূচি থেকে পাকিস্তানকে বাদ দেয়া হলে ওই বছরের জন্য পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ করা ৬৬টি আসন খালি থাকে।

মার্কিন সামরিক বাহিনী ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক উত্তেজনা থেকে এ ধরনের শিক্ষা কর্মসূচিগুলোকে আড়াল করে রাখে এই যুক্তিতে যে এটি বিদেশী সামকির কর্মকর্তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ করে। এতে দীর্ঘ মেয়াদি সুফল পাওয়া যায়।