আমরা লাইভে English মঙ্গলবার, জুন ০৬, ২০২৩

শ্রীলঙ্কায় ২২ এমপি ও সাবেক মন্ত্রীকে গ্রেফতারের নির্দেশ

Wickremesinghe consolidates his position in parliament

শ্রীলঙ্কা পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) দেশটির ২২ জন এমপি, সাবেক মন্ত্রীসহ ২২ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৯ মে গল ফেস ও টেম্পল ট্রিজে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে হামলার সাথে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশনার আলোকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল অবিলম্বে ওই ২২ জনকে গ্রেফতার করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদের মধ্যে এমপি জনস্টন ফারনান্ডো, সনথ নিশান্থ, সঞ্জীব ইডিমিরান ও মিলান জয়তিলক রয়েছেন।

শ্রীলঙ্কায় পেট্রল শেষ, কেনার জন্য ডলারও নেই!

শ্রীলঙ্কার সঙ্কট ভয়াবহ অবস্থায়। এই পরিস্থিতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে আরো সঙ্কটের বার্তা শোনালেন সদ্য দায়িত্ব নেয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। দেশে মজুদ জ্বালানি শেষ এবং আমদানি করার জন্য হাতে ডলারও নেই। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে সমস্যার সমাধান হবে তার রাস্তাও জানা নেই তার। তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিন চলার মতো ওষুধ ও নিত্যপণ্য আমদানির জন্য জরুরিভিত্তিতে ৭৫ মিলিয়ন ডলার দরকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন দেয়ার মতো টাকাও হাতে নেই বলে তিনি জানান।

সোমবার তার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে জ্বালানি তেলের মজুত শেষ। যেটুকু আছে তাতে আর মাত্র এক দিন চলবে।’ তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তাতে আরো বলেন, আগামী দিনে সঙ্কট আরো তীব্র হবে। তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

বিক্রমাসিংহে জানান, জ্বালানি তেল ভর্তি তিনটি জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে কলম্বো বন্দরে। ডলার ছাড়া তারা তেল দিতে নারাজ। সরকারের হাতে ডলার না থাকায় সেগুলো থেকে তেল কেনাও যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘সত্যকে লুকানোর কোনো ইচ্ছা নেই আমার। জনগণকে মিথ্যা বলতে চাই না।’

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মে মাসের বেতন দেয়ার মতো টাকা নেই। তবে তিনি বলেন, টাকা ছাপানোকে তিনি শেষ ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করবেন। সরকারি কর্মীদের বেতন বাবদ ১.৪ মিলিয়ন ডলার দরকার হয়।

প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে পূর্বসূরী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিক্রমাসিংহে।

বিক্ষোভকারীরা নতুন সরকার মেনে নেয়নি। তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকসের পদত্যাগ দাবি করে আসছে। তারা দেশের সঙ্কটের জন্য রাজাপাকসে পরিবারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে।