আমরা লাইভে English শুক্রবার, মার্চ ৩১, ২০২৩

রাশিয়া থেকে আরও তেল কিনতে বাধ্য হতে পারে শ্রীলঙ্কা: বিক্রমাসিংহে

main_1655032221

অন্য উৎস থেকে না পেলে রাশিয়া থেকে আরও তেল আমদানিতে বাধ্য হতে পারে শ্রীলঙ্কা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে গতকাল শনিবার এ কথা বলেন। রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে জ্বালানি ঘাটতির মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমে তাঁরা অন্য উৎস থেকে আমদানি করতে চাইবেন। কিন্তু মস্কো থেকে তাঁদের আরও অপরিশোধিত তেল কিনতে হতে পারে।

সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ আমদানি ব্যয় পরিশোধে মারাত্মক ডলার ঘাটতিতে পড়েছে দেশটি।

পেট্রল স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সারি নিয়মিত দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। কখনো এ সারি কয়েক কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। তার ওপর রয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের খড়্গ। দেশটিতে গাড়িচালকদের জন্য সাপ্তাহিক তেলের কোটা ঘোষণা করেছে সরকার।

এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধের সামর্থ্যে কাজে লাগে, এমন আর্থিক প্রবাহ কমানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। অন্যদিকে ব্যাপক ছাড়ে অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এমন প্রস্তাব কয়েকটি দেশকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানিতে বেশ উৎসাহিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে একই সঙ্গে দেশটির অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন। দ্বীপ রাষ্ট্রটির ওপর ক্রমবর্ধমান ঋণের চাপ সত্ত্বেও চীন থেকে আরও আর্থিক সহায়তা নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার বর্তমান দুর্দশা ‘নিজেদের তৈরি’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ। মারাত্মক খাদ্যসংকট ২০২৪ সাল নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা বিক্রমাসিংহের। রাশিয়া শ্রীলঙ্কায় গম রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যের পুরোনো সরবরাহকারী দেশগুলোর কাছ থেকেও তেল ও কয়লা পাওয়ার চেষ্টা করে আসছে শ্রীলঙ্কা।

তেল আমদানিতে বর্তমানে বেসরকারি সরবরাহকারীদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।