আমরা লাইভে English মঙ্গলবার, মার্চ ২৮, ২০২৩

ভ্যাকসিন সুরক্ষার জন্য স্বচ্ছতা প্রয়োজন

Annotation 2020-08-31 080232

দুনিয়াজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারী জীবন ও জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে, ব্যবসা ও শিল্প বিধ্বস্ত করে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তনের সবচেয়ে ভালো আশা যোগাতে পারে একটি কার্যকর ও নিরাপদ ভ্যাকসিন। তবে সেটা নির্ভর করছে ভ্যাকসিন তৈরি, দ্রুত উৎপাদন ও বিতরণ করা যাবে কিনা তার উপর। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে চীন এবং হংকংয়ের রয়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসাগত ও আর্থিক সম্পদ। তাই অধিবাসীরা আশা করছে যে সরকার এক্ষেত্রে দ্রুত প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। সরকার একটি সংগ্রহ কৌশলের কথা ঘোষণা করলেও বিস্তারিত জানা যায়নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে যথেষ্ঠ কাজ করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে।

স্বাস্থ্যসচিব সোফিয়া চান সিউ-সি গত সপ্তাহে বলেন, যেসব কোম্পানির সম্ভাবনা রয়েছে এবং যারা বেইজিংয়ের সহায়তা চেয়েছে তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সম্পদ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক প্রবেশ সুবিধায়ও সরকার যোগ দিয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অন্যান্য প্রচেষ্টা ফলদায়ক না হলেও সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি বীমা নীতি কার্যকর করা হয়েছে। সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ১৫০টির মতো প্রচেষ্টা চলছে। এর মধ্যে মাত্র সাতটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। তবে এর একটিও কার্যকর হওয়ার নিশ্চয়তা নেই। এগুলোর মধ্যে চারটির সঙ্গে চীনের যোগ রয়েছে। আর বাকি তিনটি পরীক্ষা হচ্ছে বিদেশে।

প্রথম একটি বিশ্বাসযোগ্য ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণাগার ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে এবং উন্নয়ন, অনুমোদন ও উৎপাদনের সময়সীমা গতানুগতিক ১০ থেকে ২০ বছরের চেয়ে দ্রুত করা হয়েছে, যাতে আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। সরকারগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে আগ্রাসী। তারা এরই মধ্যে আগাম ক্রয়-চুক্তি করে রেখেছে নিশ্চিত সরবরাহ পেতে। এই চুক্তিগুলোতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার জড়িত, যা কার্যকর বিনিয়োগ হিসেবে ফল দিতে পারে অথবা তিক্ততায় পর্যবসিত হতে পারে। বিশ্বের যেহেতু জরুরি ভিত্তিতে একটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন, তাই এটা মান ও আবিশ্যিক শর্তাবলী পূরণ করতে পারবে কিনা তা এখনো অনুমানের বিষয়।

হংকং সরকার কোন কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং কি পরিমাণ আর্থিক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। সব দেশের নাগরিকরাই আশা করেন যে তাদের সরকার মহামারীর মধ্য দিয়ে তাদেরকে নিরাপদে পার করে নেবে। জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই যতটা সম্ভব স্বচ্ছতা রক্ষাই বাঞ্ছনীয়।