আমরা লাইভে English রবিবার, মার্চ ২৬, ২০২৩

লুহানস্কের পতনের পর ইউক্রেন যুদ্ধ দোনেৎস্কে সরে যাচ্ছে

61902088_403

লুহানস্ক অঞ্চলের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকেও ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে রুশ বাহিনী।

এবার ইউক্রেনে নিয়োজিত রুশ বাহিনী গোটা দোনেৎস্ক অঞ্চল দখল করার দিকে মনোযোগ দেবে বলে সোমবার জানিয়েছেন লুহানস্কের গভর্নর।

যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালালেও পরে সেখান থেকে সরে আসে রুশ সেনারা। এরপর রাশিয়ার আক্রমণ কেন্দ্রীভূত হয় লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত শিল্পাঞ্চলে দনবাসের কেন্দ্রে।

২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলো এই অঞ্চলের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

ইউক্রেনীয় বাহিনী বোমা বর্ষণে বিধ্বস্ত শহর লিসিচানস্ক ছেড়ে যাওয়ার পর রাশিয়া জানিয়েছে, লুহানস্ক এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে। গতকাল রোববার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করে।

গভর্নর সের্হেই গাইদাই রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সামরিক দিক থেকে অবস্থান ছেড়ে দেওয়া খারাপ। কিন্তু (লুহানস্ক হারানো) তেমন গুরুতর কিছু নয়। আমাদের যুদ্ধ জিততে হবে, লিসিচানস্কের লড়াই নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'ব্যাপারটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক, কিন্তু এতেই যুদ্ধে হেরে যাইনি।'

সের্হেই গাইদাই বলেন, লিসিচানস্কে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ঘেরাও হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে ছিল।

'এখনও তাদের (রুশ বাহিনীর) প্রথম লক্ষ্য দোনেৎস্ক অঞ্চল। স্লোভিয়ানস্ক ও বাখমুতে হামলা চালানো হবে। বাখমুতে ইতিমধ্যে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে,' বলেন তিনি।

গাইদাই বলেন, তিনি আশা করেছিলেন যে স্লোভিয়ানস্ক এবং বিশেষ করে বাখমুত শহর আক্রমণের মুখে পড়বে; কারণ রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের দনবাসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

মস্কো বলেছে, সেভেরোদোনেৎস্কের পর লিসিচানস্ক দখলের অর্থ হলো, তারা লুহানস্ক অঞ্চল 'স্বাধীন' করতে পেরেছে, যা ক্রেমলিনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল।

তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউরিভ সাক বলেছেন, রাশিয়া লুহানস্ক দখলে নিতে পারলেও দনবাসের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।

এদিকে পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে দখল হারানো সমস্ত অঞ্চল পুনরুদ্ধারের সংকল্প করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনের অভিযোগ, গোলাবর্ষণ করে একের পর এক শহর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়া।ইচ্ছে করেই বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। কিন্তু, এসব অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

মস্কোর দাবি, ইউক্রেনকে নাৎসিবাদী কট্টর-জাতীয়বাদীদের হাত থেকে মুক্ত করতে সেখানে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।