আমরা লাইভে English বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩

আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশ–ফিলিস্তিনি সংঘর্ষ, আবারও উত্তেজনা

Capture isr

পূর্বঘোষিত পতাকা মিছিল নিয়ে আজ রোববার জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন ইসরায়েলের হাজারো উগ্র ডানপন্থী ইহুদি। সেই সঙ্গে পতাকা মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের নিরাপত্তা জোরদারে দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় তিন হাজার সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। এর জেরে সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজনা ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশ ও কট্টর ইহুদিদের নতুন করে বড় ধরনের সংঘাত শুরুর আশঙ্কা করছেন অনেকেই। খবর রয়টার্স ও আল–জাজিরার।

জেরুজালেমে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে (জেরুজালেম দিবস) প্রতিবছর পতাকা মিছিল করেন ইহুদিরা। এর অংশ হিসেবে রোববার সকালে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের উগ্র জাতীয়তাবাদী দল ওটজমা ইয়েহুদিত পার্টির নেতা ইতামার বেন-গিভির। সঙ্গে ছিলেন পতাকা মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারো উগ্র–ডানপন্থী ইহুদি।

পতাকা মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য আগে থেকেই পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করে ইসরায়েলের সরকার। রয়টার্স জানিয়েছে, মিছিলটি পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে আল-আকসার একটি ভবনের ভেতরে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের অবরুদ্ধ করে ফেলে ইসরায়েলি পুলিশ। এ সময় মুসল্লিরা ভেতর থেকে পাথর ও আতশবাজি ছোড়েন। জবাবে ইসরায়েলি পুলিশ মুসল্লিদের লক্ষ্য করে স্টান গ্রেনেড ছোড়ে।

তবে এতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়েছে। ১৮ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। সাংবাদিকদের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি পুলিশ এবং পতাকা মিছিলে অংশ নেওয়া ইহুদিরা।

সংঘর্ষের বিষয়ে ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, অল্প কয়েকজন ফিলিস্তিনি আল-আকসা প্রাঙ্গণে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ ও মিছিলকারীদের পথ রোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

ইহুদি মিছিলে অনেক তরুণ-যুবক অংশ নিয়েছেন। তাঁদের হাতে ইসরায়েলের পতাকা রয়েছে। তাঁরা আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাঈম রয়টার্সকে বলেন, দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদিদের প্রার্থনায় অংশ নেওয়া ইসরায়েলের দায়িত্বহীন নীতির ফলাফল। এর ফলে কিছু ঘটলে ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।

গত বছর ইহুদি মিছিলে হামাসের রকেট হামলার ফলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত শুরু হয়েছিল। পরে তা ১১ দিনের যুদ্ধে গড়ায়। এতে গাজায় নারী, শিশুসহ অন্তত ২৫০ জন নিহত হন। ইসরায়েলি ১৩ জনের প্রাণ যায় ওই যুদ্ধে। এই ঘটনা মাথায় রেখে এবারও নতুন করে সংঘাত শুরুর আশঙ্কা রয়েছে।