পার্টিগেট কেলেঙ্কারি ছাপিয়ে আস্থা ভোটে জনসনের জয়
করোনাভাইরাসজনিত লকডাউনের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি বাসভবন এবং ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে পার্টি করার অভিযোগে অভিযুক্ত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সেই ঘটনার জের ধরেই আস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেন তিনি।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠলেও এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আস্থা ভোটে জিতে গদি ধরে রাখলেন তিনি। নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির আনা সেই প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে জনসনের ওপর আস্থা রেখেছেন ২১১ জন আইনপ্রণেতা, যা মোট ভোটের ৫৯ শতাংশ। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৮ টি।
এর আগে, ২০১৮ সালে জনসনের পূর্বসূরি থেরেসা মে আস্থা ভোটের মুখে পড়েছিলেন। সেই যাত্রায় উতরে গেলেও ৬ মাসের মধ্যে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। তারপর ২০১৯ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন বরিস জনসন। কিন্তু করোনাভাইরাস ঠেকাতে লকডাউনের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি বাসভবন এবং ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ে পার্টি করার অভিযোগে অভিযুক্ত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সেই পার্টিতে মদের ফোয়ারা উঠেছিল বলেও একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ভেতরেই চাপের মুখে পড়েন জনসন। সরকারের ওপর জনসনের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা। এমনকি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জেসে নরম্যান দাবি করেছিলেন, জনসন ব্রিটেনের মসনদে থেকে ভোটার এবং দলকে অপমান করেছেন। নরম্যান ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
প্রবল চাপের মধ্যে শেষপর্যন্ত আস্থা ভোট জিতে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জনসন। আস্থা ভোটের ফলাফল পাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমার মতে, এটি দুর্দান্ত, ইতিবাচক, চূড়ান্ত এবং নিশ্চিত ফলাফল। এটি আমাদের জোটবদ্ধ হতে সাহায্য করবে।"