ট্যাংক বিধ্বংসী মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইউক্রেনের মহড়া

সীমান্তে রাশিয়ার সেনা উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভেলিন নিয়ে সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইউক্রেন। বুধবার ইউক্রেনের ডম টেলিভিশন জানিয়েছে, এই মহড়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অবস্থান থাকা পূর্বাঞ্চলে চালানো হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে চায় ইউক্রেন। ২০১৮ সাল থেকেই একাধিকবার মার্কিন অস্ত্র ও জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে দেশটি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাশিয়া সমালোচনা করেছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, সম্ভাব্য আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়া সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে। পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায় সংঘাত শুরু হলে তা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণে পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে তারা ওয়াশিংটন ও কিয়েভের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল আচরণের অভিযোগ করে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছে।
বুধবার ইউক্রেনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেকসি ডানিলভ জানান, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ১ লাখ ২২ হাজার রুশ সেনা অবস্থান করছে।
এর আগে গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনে হামলা চালানো ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সীমান্তে রাশিয়ার অন্তত ৫ থেকে ৬ লাখ সেনা মোতায়েন করতে হবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, রাশিয়া যেকোনও সময় দ্রুত সেনা মোতায়েন বাড়াতে পারে। কিন্তু আক্রমণ অভিযানের জন্য পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েন করতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে মস্কোর।
বুধবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে সংলাপ জরুরি, হোক তা নরমান্ডি কিংবা রাশিয়া-ন্যাটো কাউন্সিলের ফরম্যাটে।